বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন আবেদনকারী ২৪৫২ জন কৃষকদের মধ্যে লটারি হয়। এতে ৫৫২ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। যারা লটারির মাধ্যমে মনোনীত হয়েছেন তাঁদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এ উপলক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সভাপতিত্বে একসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার, মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীন, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরশ আলী, পাইলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর রব প্রমুখ।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরসভা, ও উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের থেকে আমন ধানের ক্রয়ে ২৪৫৩ জন আবেদন করেছেন। জগন্নাথপুর পৌরসভা ও জগন্নাথপুরের সাতটি ইউনিয়নের মাধ্যমে আবেদনকারী কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হয়। এরমধ্যে গতকাল লটারির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক নির্বাচিত হলেন, ৪২০, মাঝারি ১২৬, বৃহৎ কৃষক ৫৬জন। মোট ৫৫২ জন কৃষকের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রত্যেক বৃহৎ কৃষক জনপ্রতি তিন টন, মাঝারি কৃষক দুই টন এবং ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক এক টন ধান দিতে পারবেন। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ধান ক্রয় করা হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, ২৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত্র আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। বুধবার থেকে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হলেও বিকেলে পর্যন্ত কোন কৃষক ধান ক্রয় করতে আসেননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্ধারিত করা হয়েছে। তারপর আরও ১৫০জন কৃষকের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। তিনি জানান, এবার ৮৪০ মেট্রিন ধান সংগ্রহ করা হবে।
Leave a Reply